সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ নিয়ে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে অপপ্রচার ও অনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন গড়া মিথ্যা প্রচার করাই দলটির বহি:স্কৃত সহ সভাপতি শাকিলের নামে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন এই দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান সুইট। আইনি ব্যাবস্থার প্রথম ধাপে বহি:স্কৃত আরো তিন জনের নামে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন সুজন মাহমুদ, সুমন এহসান ও আলী আশরাফ তারা। ঐ নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। জানা যায়, টাকা আত্মসাৎ ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারনে উক্ত চার জনকে নবীন লীগ থেকে বহি:স্কার করা হয়। এর পর থেকে শাকিল ও তার তিন জন সহযোগী মিলে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যাচার শুরু করে। তারই ধারা বাহিকতায় গেল সপ্তাহে মোটা টাকার বিনিময়ে দুইটি অনলাইনে নিউজ করান। এর মধ্যে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ঘটনার সত্যতা জেনে তার পোর্টাল থেকে সংবাদটি ডিলিট করে দেয়। কিন্তু অন্য নিউজ পোর্টালটি লুৎফুর রহমান সুইটের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। শালিকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে ঐ পোর্টালটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করে হলুদ সাংবাদিকতা করেছে বলে দাবি লুৎফুর রহমান সুইটের। তিনি জানান, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে যে নীতি রয়েছে তা তারা কোন ভাবেই পালন করেনি। বরং টাকার বিনিময়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে হলুদ সাংবাদিকতা করেছে। কথিত কতিপয় এসব হলুদ সাংবাদিকদের কারনে সাংবাদিকেরমত মহান পেশাকে কুলশিত করছে। লিগ্যাল নোটেশের প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট কাজি মফিজুল উক্ত ৪ জনের নামে নোটিশ টি পাঠায়। তারা যে মিথ্যাচার করেছে তা সেখানে উল্ল্যেখ আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নিউেইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান সুইট ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের জন্য আবেদন করেন। কেন্দ্রীয় কমিটিসহ নবীন লীগের ৬০টি জেলা কমিটি ৭ টি মহানগর , ১৫ টি এবং ৩০০ টি ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে। এদিকে লিগ্যাল নোটিশে ১ নং আসামী শাকিলকে করা হয়েছে। জানা গেছে , ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল অবধি সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলো শাকিল। পরে তাকে সহ সভাপতি করা হয়। তখনই ক্ষিপ্ত হয় শাকিল। এর পর বাংলাদেশ নবীন লীগের প্যাড ব্যাহার করে একটি ঘোষনা দিয়ে নিজেকে সভাপতি দাবি করে। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র নিয়ামানুযায়ী তা শৃংখলা ভঙ্গের শামিল অপরাধ। এ বিষয়ে শাকিলের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি।